সময় বাঁচাতে রমাযানে পালনীয় তিনটি টিপ্স
আমরা সবাই আমাদের সময়ের
সদ্ব্যবহার করতে চাই। আমাদের জীবনের মুহুর্তগুলো থেকে সর্বোচ্চ Output
চাই। এই ডিজিটাল যুগে আমাদের জীবন যেন
এলোমেলো। সময় নাই, ফুরসৎ নাই। শুধুই ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা। কর্পোরেট, আন-কর্পোরেট,
কালচার্ড, আন-কালচার্ড সবারই একটাই অভিযোগ; “সময় পাই না ভাই, সময় নাই!”
অথচ আমাদের অভ্যাসের সামান্য
কিছু পরিবর্তন আমাদের জীবনে অদ্ভুত পরিবর্তন এনে দিতে পারে। আমাদের সময়ে বরকত হতে
পারে। আসলেই, খুবই সামান্য পরিবর্তন।
সামনে আসছে রমাযান। আমরা দোয়া করি আল্লাহপাক আমাদের এই রমাযান নসীব করুন।
সেই সাথে খুব বেশী নয়, মাত্র তিনটি। হ্যাঁ, ঠিকই বলছি। মাত্র তিনটি পরিবর্তন
আমাদের অভ্যাসে আমরা আনি। তাহলে আমাদের জীবন বদলে যাবে ইনশাল্লাহ।
এটা পরীক্ষিত সত্য, যে বর্তমান সময়ের
মানুষ তার সর্বোচ্চ সময় ক্ষেপণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশ্বের নামীদামী সংস্থাগুলো এর
উপর অনেক গবেষণা এবং জরিপ চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। এ কারণেই অনেক অফিসে বা
কর্মক্ষেত্রে সোশ্যাল সাইটগুলো ব্লক করা হয়। তবে আমি বলছিনা যে, সোশ্যাল মিডিয়া পুরোপুরী বন্ধ করে দিন। কারণ আপনি
হয়তো এই লেখাটি ও কোন সোশ্যাল মিডিয়া হতেই পড়ছেন। আমি যেটা অনুরোধ করব, সারাদিন অনলাইন
থাকবেন না। শুধু শুধু অনলাইন থাকা পরিহার করুন। সারাদিন অনলাইন না থেকে দিনের মধ্যে
দুই বা তিনটা সময় আপনি বেঁছে নিন। এই দুই বা তিন সময়ে আপনি পুরোপুরী সোশ্যাল মিডিয়ায়
ফোকাস করবেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে যদি ব্রাউজিং করা হয় তাহলে কোন কাজই ঠিক মত করা হয়
না, সেই সাথে কাজটা শেষ হতে সময়ও বেশী লাগে। যেমন ধরুন, আপনি একটা আর্টিক্যাল পড়ছেন।
এখন যদি আপনি আর্টিক্যাল পড়ার ফাঁকে ফাঁকে ফেসবুক ব্রাউজ করেন তাহলে, আর্টিক্যাল থেকে
আপনি অনেক কিছুই আরোহণে ব্যর্থ হবেন এবং যে আর্টিক্যাল পড়তে আপনার ৫ মিনিট লাগার কথা
সেই আর্টিক্যাল পড়তে আপনার লাগবে ২৫ মিনিট। এটাই বাস্তব।এই মুহুর্ত থেকেই প্রতিজ্ঞা নিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনে
দুই থেকে তিনবারের বেশী অনলাইন হবেন না। যখন অনলাইন হবেন, তখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়া
নিয়েই থাকবেন। আর যখন অন্য কাজ করবেন, শুধু ওই কাজেই ফোকাস করবেন। এদুটোকে
মাখামাখী করে কোন কাজ করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি অনেক বড় কোন লেখা পড়তে হয়,
তাহলে সেটি আলাদা কপি করে নিন। সোশ্যাল মিডিয়া থেলে লগ আউট হোন। এবার সেই কপি করা
লেখা পড়ুন। এটা যাদুকরী ফলাফল নিয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।
হোক আপনার
সহকর্মী, বা পুরনো কোন বন্ধু অথবা কোন নিকট আত্নীয়। তারা যদি আপনার কাজের সময়
শুধুমাত্র খোশ গল্পের জন্য ফোন করে, কথা বলে; তবে তাদেরকে ভদ্র ভাবে আপনার কাজ এবং
ব্যস্ততার কথা বুঝিয়ে বলুন। বিনয় ও নম্রভাবে বলুন যেন তারা মন খারাপ না করেন।
এভাবে করতে থাকলে দেখবেন একসময় অন্যরা আপনার ব্যাপার বুঝতে শুরু করবেন। এভাবে
শুধুমাত্র কথা সংক্ষিপ্ত করার মাধ্যমে আপনি অনেক সময় হাতে ফিরে পাবেন ইনশাল্লাহ।
চেষ্টা করেই দেখুন না।
আপনার কী
কী কাজ করা লাগবে তাঁর একটা তালিকা তৈরী করুন। তালিকাটি অবশ্যই অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে হতে হবে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে এবং অপক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ
পড়ে রাখতে হবে। একটার পর একটা করে কাজগুলো শেষ করতে হবে।
No comments: