আল কুর’আনে তাওহীদের বিষয়ে ৯ নবীর ভাষণ
হযরত নুহ আলাইহি সালাম
“নিশ্চয় আমি নুহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠিয়েছি। সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি"। [সুরা আরাফ,৭:৫৯]
জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
“তার সম্প্রদায়ের সর্দাররা বলল: আমরা তোমাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতার মাঝে দেখতে পাচ্ছি”। [সুরা আরাফ, ৭:৬০]
হযরত হুদ আলাইহি সালাম
“আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই”। [সুরা আরাফ, ৭:৬৫]
জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
তারা সম্প্রদায়ের সর্দররা বলল: "আমরা তোমাকে নির্বোধ দেখতে পাচ্ছি এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি"। [সুরা আরাফ, ৭:৬৬]
“তারা বলল: তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যে এসেছ যে আমরা এক আল্লাহর এবাদত করি এবং আমাদের বাপ-দাদা যাদের পূজা করত, তাদেরকে ছেড়ে দেই? অতএব নিয়ে আস আমাদের কাছে যা দ্বারা আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছ, যদি তুমি সত্যবাদী হও”। [সুরা আরাফ, ৭:৭০]
হযরত সালেহ আলাইহি সালাম
“সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ এসে গেছে। এটি আল্লাহর উষ্টী তোমাদের জন্যে প্রমাণ। অতএব একে ছেড়ে দাও, আল্লাহর ভুমিতে চড়ে বেড়াবে। একে অসৎভাবে স্পর্শ করবে না। অন্যথায় তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পাকড়াও করবে”। [সুরা আরাফ, ৭:৭৩]
জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
“দাম্ভিকরা বলল, তোমরা যে বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আমরা তাতে অবিশ্বাসী”। [সুরা আরাফ, :৭৬]
“আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী”। [সুরা মারইয়াম, ১৯:৪১]
জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
“পিতা বলল: যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও”। [সুরা মারইয়াম, ১৯:৪৬]
হযরত শুয়াইব আলাইহি সালাম
“আমি মাদইয়ানের প্রতি তাদের ভাই শোয়ায়েবকে প্রেরণ করেছি। সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ এসে গেছে। অতএব তোমরা মাপ ও ওজন পূর্ন কর এবং মানুষকে তাদের দ্রব্যদি কম দিয়ো না এবং ভুপৃষ্টের সংস্কার সাধন করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। এই হল তোমাদের জন্যে কল্যাণকর, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও”। [সুরা আরাফ: ৮৫]
জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
অর্থ: “তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক সর্দাররা বলল: হে শোয়ায়েব, আমরা অবশ্যই তোমাকে এবং তোমার সাথে বিশ্বাস স্থাপনকারীদেরকে শহর থেকে বের করে দেব অথবা তোমরা আমাদের ধর্মে প্রত্যাবর্তন করবে। শোয়ায়েব বলল: আমরা অপছন্দ করলেও কি?” [সুরা আরাফ, ৭:৮৮]
হযরত ইয়াকুব আলাইহি সালাম
অর্থ: “তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বলল: আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য”। [সুরা বাক্বারা, ২:১৩৩]
হযরত ইউসুফ আলাইহি সালাম
“হে কারাগারের সঙ্গীদ্বয়! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ”? [সুরা ইউসুফ, ১২:৩৯]
হযরত ঈসা আলাইহি সালাম
অর্থ: “তিনি (ঈসা আঃ) আরও বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তার এবাদত কর। এটা সরল পথ”। [সুরা মারইয়াম, ১৯:৩৬]
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও এ তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন, বরং মেরাজের পূর্ব পর্যন্ত শুধু তাওহীদের দাওয়াতই দিয়েছেন। কারণ মেরাজের পূর্ব পর্যন্ত সালাত, সওম, হজ্জ, যাকাত এর বিধান নাযিল হয়নি। অপর দিকে আল্লাহ আছেন, তিনিসৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা, বৃষ্টিদাতা, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, এর পরিচালক এ সকল বিষয়গুলোকে মক্কারকাফেরগণ পূর্ব থেকেই বিশ্বাস করতো, সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিতে লাগলেন, তিনি ঘোষণা করলেন :
অর্থ: “আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই”। [সুরা বাক্বারা, ২:১৬৩]
অর্থ: “বলুন: আমাকে তো এ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। সুতরাং তোমরা কি আজ্ঞাবহ হবে”? [সুরা আম্বিয়া, ২১:১০৮]
অর্থ: “আল্লাহ বললেন: তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর”। [সুরা নাহল, ১৬:৫১]
জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন বলেই মক্কার কাফেরগণ উত্তর দিয়েছিলো:
অর্থ: “সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার”। [সূরা সাদ, ৩৮;৫]
See more at: http://www.islamicalo.com/index.php?s=article_view&aid=34#sthash.KlIfbSlw.dpuf
আপনার পরিবার, পরিজন, সন্তান ও অন্যদের কেও এই দাওয়াহ্ পৌঁছে দিন। না দেখে নিচের কুইজ গুলোর উত্তর দিন।